শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১২


সম্প্রতি NBR বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কষ্টার্জিত রেমিটেন্সের উপর ১০% কর বসিয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের অর্থের উপর ১০ শতাংশ করারোপ করে খুব খারাপ কাজ করলো NBR। খবরটা সত্যি দুঃখজনক এবং খুবি হতাশাজনক। এমনিতেই আমাদের দেশে যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে যারা যুক্ত আছেন তাদের সমস্যার কোন শেষ নেই, তার উপর এই কর নামক নতুন বোঝা। একজন ফ্রীল্যান্সারের জন্য আমাদের বাংলাদেশে কোন প্রাতিষ্টানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। নিজ উদ্দোগে প্রতিটি ফ্রীল্যাঞ্ছার ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাজ শিখে, ঠিক মত পায়না নেট স্পিড ও, তার উপর এটা এক ধরনের জগন্য অত্যাচার। এতে করে ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেকেই আগ্রহ হারাবেন। BytcCode এর প্রতি তীব্র্য নিন্দা জানায়।
সরকারের এই উদ্দ্যেগকে সমর্থন করা যায় না! সরকার এটা করতে পারে না! চাকুরীর ক্ষেত্র সৃষ্টি না করে নিরিহ ফ্রীল্যান্সারদের উপর ট্যাক্স আরোপ করা উচিত নয় বলে মনে করি। আর যদি ট্যাক্স দিতেই হয় তবে সম্পূরক হিসাবে কিছু সুবিধা যেমন: কম খরচে প্রশিক্ষন, সল্পমূল্যে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, বিদ্যুত সুবিধা সহ একজন ট্যাক্স পেয়ার হিসাবে রাষ্ট্র থেকে যে সকল সুবিধ

া দেওয়া হয় তার সবই প্রদান করতে হবে। তার আগে আমরা মানব না। ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে ফ্রীল্যঞ্ছাররা। তাদের সমস্যা সৃষ্টি করে দেশ কোন দিনই ডিজিটাল হতে পারবে না। সরকারের এই মূর্খ সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাই!
তাছাড়া এ করের কারনে এখন দেশে হুন্ডির পরিমাণ বেড়ে যাবে, দেশের টাকা দেশে আসার আগেই বিদেশে পাঁচার হয়ে যাবে। তাহলে লাভ হচ্ছে নাকি ক্ষতি হচ্ছে? এর আগেও পেপাল বাংলাদেশে আসতে চাইছে কিন্তু সরকার নিষেধ করছে, আর ভুক্তভোগী হাজার হাজার ফ্রীল্যাঞ্ছার।
বাংলাদেশে বেকার সমস্যা একটি প্রধান সমস্যা। সরকার বেকার তরুনদের কর্মসংস্থানের চিন্তা না করে যারা নিজেদের বেকরত্ত্বকে গোছানোর চেষ্টা করছে তাদের থেকে কিভাবে বেশি করে কর নেয়া যায় সেই চিন্তায় ব্যস্ত।একজন ফ্রিল্যান্সারকে ১০০ ডলার কামাতে কম-বেশি নিচের খরচগুলো দিতে হয়:

৫-১৫% ই সাইটের ফি
২-৫% উত্তোলন ফি
১-৫% পেমেন্ট গেটওয়ের ফি
৩-৫% ব্যাংকে উত্তোলন ফি
১-৩% কারেন্সি কনভার্সনে হারানো
১-২% হারায় ব্যাংকের রেট কম দেয়ায়।

সবমিলিয়ে ১২%-৩৫% পর্যন্ত হারাতে পারে। তাছাড়া টাকা নিয়ে আসতে যে কষ্ট সয্য করতে হয় তার উপর ট্যাক্স। এখন সরকারের ১০% ট্যাক্স কাটার জন্য সেটা হবে ২২-৪৫% পর্যন্ত। একজন ফ্রীল্যাঞ্ছারই জানে তার ১০০ ডলারের জন্য কত প্ররিশ্রম করতে হয়।

তাহলে এখন একজন বেকার কিভাবে নিজের বেকারত্ত্ব দূর করবে? কোথায় সরকার উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করবে, তা না করে তরুনদের নিজেদের প্রচেষ্টাকেই বাধা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এটাকে মেনে নেওয়া যায় না। সকল ফ্রীল্যাঞ্ছার এক হয়ে এর প্রতিবাদের আহবান কর

ওডেস্ক হেল্প উদ্যোগে ওডেস্কের খুটিনাটি বিষয়ক ইবুক প্রকাশের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ফাইনাল হয়েছে। এখন ইবুকটার জন্য কারা কারা কন্ট্রিবিউট করতে চান একটু সাড়াশব্দ দিন। এখানে টাকা পয়সার কোন ব্যাপার নেই। নিজের সব জরুরী কাজের মধ্য থেকে কয়েক ঘন্টা সময় বের করতে হবে। সেটা হোক লেখার জন্য অথবা পরামর্শের জন্য। ইবুকটার বিষয়ে কে কি করতে চান বা করতে পারবেন মন্তব্যে বা গ্রুপের যে কোন এডমিনকে পার্সোনাল মেসেজে জানাতে পারেন।al-hera
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচিত পেশা হিসাবে ফ্রীল্যান্সিং নিজের জায়গা করে নিয়েছে। এখন সবাই স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চায়, কারন খোজ করতেছেন?  যেখানে নেই বস এর ঝারি খাওয়ার ভয়, নেই সকাল সকাল অফিস যাওয়ার ভয় এই সব কারনে আজ সবাই ফ্রীল্যান্সিং পেশা বেছে নিচ্ছে। তবে আপনি কি মনে করেন আপনি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন? ভেবে দেখুন আপনার জন্য ফ্রীল্যান্সিং কি না? যে সব জিনিস আপনার মধ্যে থাকলে আপনি একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন তা নিন্মে আলোচনা করা হল।nextbarisal

একজন দক্ষ্য ফ্রীল্যান্সার হতে গেলে আপনার যা যা থাকা দরকার,
  • দক্ষতা বা কাজ করার ক্ষমতা
  • ধৈর্যশীল ও ত্যাগী
  • কাজের প্রতি সততা
  • দায়িত্ব বোধ

দক্ষতা বা কাজ করার ক্ষমতা

একজন ফ্রীল্যান্সার এর প্রথম যা থাকা দরকার তাহল দক্ষতা বা তার কাজ করার ক্ষমতা । আপনি আগে জানার চেস্টা করুন আপনি কোন কাজে দক্ষ । প্রথমে আপনার কাজ হবে এটা। একজন ফ্রীল্যান্সার অনেক ধরনের কাজ করতে পারে। যেমন,
ওয়েব ডেভেলপারঃ আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হোন তাহলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনি odesk.com, freelancer.com, elance.com থেকে অনেক ওয়েব ডেভেলপার এর কাজ পাবেন। তাহলে আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে দেরি না করে শুরু করে দিন ফ্রীল্যান্সিং।
গ্রাফিক্স ডিজাইনারঃ একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনলাইনে অনেক ডিমান্ড। আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হোন তাহলে আপনি অনায়াসে একজন মানের ফ্রীল্যান্সার হতে পারেন।
প্রোগ্রামারঃ আপনি যদি একজন ভালো মানের প্রোগ্রামার হোন তাহলেও আপনি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন। আপনি ফ্রীল্যান্সিং করে অনেক ভালো ফিগারের আয় করতে পারবেন। কথায় থেকে আয় করবেন যদি ভেবে থাকেন তাহলে odesk.com, freelancer.com, elance.com সাইট গুলো চোখ বুলিয়ে নিন, দেখবেন হাজার হাজার কাজ প্রতিদিন জমা হচ্ছে।
মার্কেটিং এন্ড সেলসঃ আপনি একজন ভালো মার্কেটার এবং জব ভালো লাগতেছে না? তাহলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন। অন্যন্যা দেশে হাজার হাজার মানুষ অনলাইনে মার্কেটিং এন্ড সেলস এর কাজ করতেছে এবং জব এর নিদিস্ট সেলারির এর চেয়ে অনেক ভালো ফিগারের আয় করতেছে। এই সুযোগ যেহেতূ আপনাদের হাতেই আছে তো আপনি কেন এটা ব্যবহার করবেন না।

এছাড়া আপনি অনেক ধরনের কাজ করতে পারবেন। যেমন আপনি যদি একজন ভালো আর্টিকেল রাইটার হোন তাহলে আপনি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন। এছাড়াও হাজার ধরনের কাজ আছে যা দিনে আপনি আপনার ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারবেন। তবে সব কথা শেষ কথা হল আপনাকে অবশ্যই সে জায়গায় এক্সপার্ট হতে হবে যেখানে আপনি কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন, সেটা প্রোগ্রামিং এ হোক আর গ্রাফিক্স ডিজাইনেই হোক।

ধৈর্যশীল ও ত্যাগী

আপনি যদি একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে চান? তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ধৈর্যশীল ও ত্যাগী মানুষ হতে হবে। দেখা গেলো আপনি বিড করে যাচ্ছেন কাজ পাচ্ছেন, তখন আপনি ধৈর্য্য হারিয়ে ফেললে সফলতা পেতে কষ্ট হতে পারে। এছাড়া এই ফ্রীল্যান্সিং কাজ কে ভালোবেসে আপনাকে ত্যাগী হতে হবে। দেখা গেলো কাজ এর সময় টিভিতে আপনার কোন পছন্দের  অনুষ্টান হচ্ছে, কাজ থাকলে এই অনুষ্টানটি আপনাকে মিস দিতে হবে। দেখা গেলো বন্ধুবান্ধব মিলে বড় পার্টি দিলো, কিন্তু আপনার হাতে অনেক কাজ, এ সময় আপনাকে ঐ পার্টি ত্যাগ করতে হবে। আপনার কাজকে সমসময় বেশী প্রাধান্য দিতে হবে।

কাজের প্রতি সততা

একজন সফল ফ্রীল্যান্সার এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল তার সততা বা কাজের প্রতি সততা। আপনি যদি আপনার কাজের প্রতি সৎ না থাকেন তাহলে আপনি কখন আপনার কাজে সফলতা পাবেন না। আপনার কাজ টা কি? তা কি সৎ রাস্তায় তা আগে চিন্তা করে নিন। সব সময় আপনার লক্ষ্য থাকবে সৎ পথে থেকে সৎ ভাবে আয় করার তাহলে আপনি একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন।

দায়িত্ব বোধ

নিজের কাজ এর প্রতি যদি আপনার দায়িত্ব বোধ না থাকে তাহলে আপনি কখন একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন না। ক্লায়েন্ট কখন কাজ দিলো তিনি কখন কাজ বুঝায় নিবে তার সময় সম্পর্কে আপনাক ভালো ভাবে অবগত থাকতে হবে। সব সময়ে নিদিস্ট সময়ের আগে কাজ শেষ করার চেস্টা থাকতে হবে। সম্পূর্ন দায়িত্ব সহকারে কাজ শেষ করার চিন্তা থাকতে হবে। ক্লায়েন্ট কে কখন অবহেলা করা যাবে না। ছোট কাজ হোক আর বড় কাজ হোক যে আগে নিয়েছেন সেটা আগে শেষ করুন।

এখন কিছুদিন ভাবুন আপনার জন্য ফ্রীল্যান্সিং কি না? আপনি যদি উপরের বিষয় গুলো মেনে চলতে পারেন তাহলে ফ্রীল্যান্সিং পেশায় আপনার নাম লিখান। আমার ফ্রীল্যাসিং এর উপর নিয়মিত টিউটোরিয়াল লেখা হবে। যদি ইচ্ছা থাকে সাথে থাকবেন আর প্রশ্ন থাকলে করবেন।
আপনার পক্ষে যদি প্রতিদিন আমাদের ব্লগে আশা সম্ভব না হয় তাহলে আপনি আমাদের নিউজলেটার সার্ভিস নিতে পারেন। ব্লগের নতুন কোন টিউটোরিয়াল পোস্ট হওয়ার সাথে আথে আপনার ইমেইল এড্রেস আমরা একটা কপি পাঠিয়ে দিবো! নিচের বক্সে আপনার ইমেইল এড্রেস প্রদান করুন এবং সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন:
2

এরকম কিছু টিউটোরিয়াল

৫ Responses to "ফ্রীল্যান্সিং টিউটোরিয়াল (পর্ব ১) ভেবে দেখুন আপনি ফ্রীল্যান্সার হতে পারবেন কি না?"

কি মন্তব্য করতে যাচ্ছেন? দয়া করে বাংলা মন্তব্য করুন, কারন বাংলা ব্লগে ইংরেজি মন্তব্য বড়ই বেমানান । বাংলা ভাষাকে সম্মান করে বাংলা মন্তব্য করুন।
  1. mamun says:
    ভালো লাগলো। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
  2. KanaK says:
    শুভেচ্ছা রইল। আপনার লিখাটি সুন্দর হয়েছে। কিন্তু ভাই এসব কাজ কোথায় শিখবো তার যদি একটি গাইড লাইন আমার ই-মেইল এ দিতেন তাহলে খুব উপকৃত হতাম। ভাই আমি অনেক দূরে থাকি সে কারনে আপনার কাছ হতে একটি ই-মেইল আশা করছি।
    ধন্যবাদান্ত
    কনক
    পঞ্চগড়
    1. কনক ভাই কল করুন ০১৭১২৪০০৭৭৩
  3. কিশোর কুমার পা্ত্র says:
    আমি একটি ব্লগ বানাতে চাই। সাহায্য করুন। কিভাবে মার্কেটিং এ এবং সেলসে কাজ করব ফ্রীল্যান্সার হিসাবে
    1. আমাকে ফোন দিন কিশোর ০১৭১২৪০০৭৭৩

Leave a Reply

*